দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলের বরগুনা. পাথরঘাটা, পিরোজপুর, ভোলা ও বরিশালের আগৈলঝাড়া সহ বিভিন্নস্থান থেকে দেড় শতাধিক মটর সাইকেল চুরি করার গ্যাং লিডার মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ সহযোগী লিটনকে ঢাকার পল¬বী এলাকায় থেকে আটক করেছে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। আটক শহিদুল ইসলাম ও সহযোগড়ী লিটনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কোতয়ালী মডেল থানার (এসি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রাসেল।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রাসেল জানান, প্রয় ৬ মাস পরিকল্পনা করে গত ১৮ই মার্চ তার নেতৃত্বে এস.আই বসির, এস.আই মামুন, এস.আই আরাফাত হাসান, এ.এস.আই সুজন চন্দ্র ও এ.এস.আই কামরুল (২) বরিশাল ত্যাগ ঢাকায় অবস্থান নিতে হয়। সেখানে গিয়ে ছদ্ধবেশে কখনো ফেরিওয়ালা,ভিকারী ও সবজি বিক্রিতা সেজে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পারিচালনা করি এক প্রর্যায়ে সহযোগী লিটনের সন্ধান পেয়ে নতুন রুপ ধারন করে ব্যাংকার হিসাবে বাসা ভাড়া নিতে মহাখালী এলাকায় বাসা দেখতে যাই।
যার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিতে যাই উক্ত মালিকের বাসার ভাড়াটিয়া ছিল লিটন। প্রথমে আমরা লিটনকে গ্রেপতার করি। পরে ওর কাছ থেকে মোটর সাইকেল চুরির গ্যাং লিডার মোঃ শহিদুল ইসলামকে গ্রেপতার করার জন্য পল¬বী এলাকার কড়ইতলা অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলামকে গত ১৯ই মার্চ গ্রেপতার করতে আমরা সক্ষম হই। এসময় এসি রাসেল আরো বলেন একবার শহিদুল আটক না হলে সামনের সপ্তাহে বরিশালের বিভিন্নস্থানে মোটর সাইকেল চুরির মিশনের পরিকল্পনা ছিল তাদের এরকমই তথ্য প্রদান করে আটক হবার পর তারা।
গ্যাং লিডার মোঃ শহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার মৃত্যু মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। শহিদুল ৪ বছর যাবত ঢাকায় অবস্থান করে এবং বিভিন্ন মোটর সাইকেল চুরির মিশন নিয়ে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে এসে কাজ করে পুনরায় চলে যায়। সোমবার আটক গ্যাংলিডার শহিদুল ও সহ সহযোগী লিটনকে সাথে বরিশালে এসে আদালতে আসামীদের হাজির করা হয়েছে।
উল্লেখ্য কোতয়ালী মডেল থানার এসি রাসেল ইতি পূর্বে শহিদুলের ৮ সদস্যকে গ্রেপতার করার তাদের হেফাজত থেকে ৪টি চোরাইকৃর্ত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছিল।
Leave a Reply